স্বপ্নের পদ্মা সেতু রচনা টি ২০০ শব্দ, ৫০০ শব্দ ও ১২০০ শব্দ দিয়ে লেখা। রচনা গুলো খুব গুছিয়ে লেখা হয়েছে, যা পরীক্ষায় ফুল মার্কস পেতে সাহায্য করবে।
Table of Contents
লেখাটি ভালো লাগলে বা আপনার উপকারে আসলে একটি কমেন্ট ও একটি রিভিউ অবশ্যই দিবেন, আপনার মতামত আমাদের এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
এখানে পদ্মা সেতু রচনা টি ২০০ শব্দ দিয়ে লেখা আছে। নিচে একই রচনা ৫০০ ও ১২০০ শব্দে দেয়া আছে চাইলে সেটিও দেখতে পারেন।
পদ্মা সেতুটি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি বড় অবদান রাখবে। এটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৯টি জেলাকে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করবে। এতে করে ব্যবসা-বাণিজ্য, পর্যটন, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নতি হবে। পদ্মা সেতুটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মানও উন্নত করবে।
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের একটি বহুমুখী সেতু, যা পদ্মা নদীর উপর নির্মিত হয়েছে। এটি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করেছে। পদ্মা সেতুটি ৬.১৫ কিলোমিটার (৩.৮৫ মাইল) দীর্ঘ এবং এর দুটি পিলারের মধ্যে দূরত্ব ১.৫ কিলোমিটার (০.৯৩ মাইল)। সেতুটিতে ছয়টি লেন এবং একটি রেলপথ রয়েছে। পদ্মা সেতুটি ২০১৭ সালের ২৫ ডিসেম্বর উদ্বোধন করা হয়েছিল।
পদ্মা সেতুটি নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৩০,১৯৩ কোটি টাকা (৩.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে নির্মিত সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্প। পদ্মা সেতুটি নির্মাণে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড (সিআরআরসি) কাজ করেছে।
পদ্মা সেতুটি বাংলাদেশের একটি অভূতপূর্ব অর্জন। এটি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মানকে উন্নত করবে।
এখানে পদ্মা সেতু রচনা টি ৫০০ শব্দ দিয়ে লেখা আছে। নিচে একই রচনা ১২০০ শব্দে দেয়া আছে চাইলে সেটিও দেখতে পারেন।
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের একটি বহুমুখী সেতু, যা পদ্মা নদীর উপর নির্মিত হয়েছে। এটি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করেছে। পদ্মা সেতুটি ৬.১৫ কিলোমিটার (৩.৮৫ মাইল) দীর্ঘ এবং এর দুটি পিলারের মধ্যে দূরত্ব ১.৫ কিলোমিটার (০.৯৩ মাইল)। সেতুটিতে ছয়টি লেন এবং একটি রেলপথ রয়েছে।
পদ্মা সেতুটি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি বড় অবদান রাখবে। এটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৯টি জেলাকে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করবে। এতে করে ব্যবসা-বাণিজ্য, পর্যটন, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নতি হবে। পদ্মা সেতুটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মানও উন্নত করবে।
পদ্মা সেতুটি নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৩০,১৯৩ কোটি টাকা (৩.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে নির্মিত সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্প। পদ্মা সেতুটি নির্মাণে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড (সিআরআরসি) কাজ করেছে।
পদ্মা সেতু নির্মাণের পরিকল্পনাটি প্রথম ১৯৯০-এর দশকে করা হয়েছিল। কিন্তু সেতুটি নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালে। পদ্মা সেতুটি নির্মাণে অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল একটি গভীর নদীর তলদেশে। সেতুটি নির্মাণের সময় বন্যা এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পদ্মা সেতুটি নির্মাণে মোট সময় লেগেছে ৯ বছর।
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি বড় অবদান রাখবে। এটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৯টি জেলাকে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করবে। এতে করে ব্যবসা-বাণিজ্য, পর্যটন, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নতি হবে। পদ্মা সেতুটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মানও উন্নত করবে।
পদ্মা সেতুটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনীতিকে প্রসারিত করবে। এটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কৃষিজল, বিদ্যুৎ এবং গ্যাস সরবরাহ করবে। পদ্মা সেতুটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পর্যটন শিল্পকেও প্রসারিত করবে। পদ্মা সেতুটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবাকেও উন্নত করবে।
পদ্মা সেতুটি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি বড় অবদান রাখবে। এটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৯টি জেলাকে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করবে। এতে করে ব্যবসা-বাণিজ্য, পর্যটন, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নতি হবে। পদ্মা সেতুটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মানও উন্নত করবে।
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের একটি অভূতপূর্ব অর্জন। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা, প্রকৌশল উৎকর্ষ ও সামগ্রিক পারঙ্গমতার প্রতীক এবং জাতি হিসেবে আমাদের নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার সোপান। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার পথে এটি একটি মাইলফলক। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর এটাই আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন। সচল অর্থনীতির সফল চাবিকাঠি পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে নিজ গৌরবে আরও একবার মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের একটি জাতীয় গর্বের প্রতীক।
এখানে স্বপ্নের পদ্মা সেতু রচনা টি ১২০০ শব্দ ও ১৫ টি পয়েন্ট দিয়ে লেখা আছে। এই রচনা টি খুব গুছিয়ে লেখা হয়েছে যা আপনাকে ফুল মার্কস পেতে সাহায্য করবে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে খরস্রোতা ও প্রশস্ত পদ্মা নদীর ওপর নির্মিত পদ্মা সেতু বাংলাদেশের জন্য অভাবনীয় এক কীৰ্তি নতুন এক 'নেশন ব্র্যান্ডিং'। এই সেতু বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্জলের সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সংযোগ ঘটিয়েছে। বাংলাদেশের নিজস্ব নির্মিত পদ্মা সেতু খুলে দেবে নতুন সম্ভাবনার অবারিত দুয়ার, উন্নত ও সুখময় হবে মানুষের জীবনযাত্রা। এ দেশের মানুষের উদ্যম ও সক্ষমন্ত্র প্রতীক পদ্মা সেতু । গৌরব, অহংকার ও আত্মমর্যাদার সমুজ্জ্বল প্রতীক পদ্মা সেতু।
বাংলাদেশের বুক চিরে বয়ে চলেছে অসংখ্য নদ-নদী। এ কারণে আমাদের যাতায়াত ব্যবস্থায় প্রতিনিয়তই নৌপথের সাহায্য নিতে হয়। এতে তৈরি হয় দীর্ঘসূত্রতা ও মন্থরতা। একে গতিশীল করার জন্য প্রয়োজন হয় সেতুর।
পদ্মা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নদী। এ নদী পারাপারে মানুষের দুঃখ, কষ্ট ও দুর্ভোগের সীমা ছিল না। তাই দীর্ঘদিন ধরে এ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ পদ্মা নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণের জন্য বিভিন্ন সময়ে দাবি করে আসছিল। অবশেষে এ সেতুর সম্ভাবনার কথা বিবেচনায় এনে ১৯৯৮ সালের সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সমীক্ষা যাচাইয়ের পর ২০০১ সালে এ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। কিন্তু অর্থায়নের সুযোগ সৃষ্টি না হওয়ায় তা কিছুকালের জন্য স্থগিত হয়ে যায়। ২০০৯ সালে পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের তৎপরতা আবার শুরু হয়।
অউঈঙগ-এর নকশায় পদ্মা নদীর ওপর পদ্মা বহুমুখী সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল ২০১১ সালে এবং শেষ হওয়ার কথা ছিলো২০১৩ সালে।পুরো প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৯২ কোটি ডলার।
এটি নির্মাণে বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকা আইডিবি ও আবুধাবি ডেভেলপমেন্ট গ্রুপের ঋণ সহায়তা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরামর্শক নিয়োগে তথাকথিত দুর্নীতির অভিযোগে ২৯ জুন, ২০১২ সালে বিশ্বব্যাংক ১২০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা বাতিল করে।পরবর্তী সময়ে অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাও পিছিয়ে যায়। ফলে পদ্মা সেতুর ভাগ্য অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। কিছু সময়ের জন্য এ দেশের মানুষ দুঃখ, ক্ষোভ ও হতাশায় নিমজ্জিত হয় ।
বাংলাদেশের মানুষ স্বপ্ন দেখা ও বাস্তবায়নের রূপকার। তারা সাহসী ও সংগ্রামী। প্রতিনিয়ত লড়াই করে বেঁচে থাকার প্রত্যয়দীপ্ত এ দেশের মানুষ পরক্ষণেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ষড়যন্ত্রের কথা বুঝতে পেরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে আমাদের সরকারও। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা এ দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের ঘোষণা দিলেন তেজোদীপ্ত কণ্ঠে। তার এ সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে সময়োপযোগী এবং অনন্য ও সাহসী।
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু। এ সেতুর নকশা প্রণয়ন করেছে AECOM। এটি মুন্সীগঞ্জ জেলার মাওয়া প্রান্তের সঙ্গে শরিয়তপুর জেলার জাজিরা প্রান্তের সংযোগ ঘটিয়েছে।
দ্বিতল এ সেতু সম্পূর্ণভাবে কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে তৈরি হয়েছে। এর ওপর দিয়ে চলছে যানবাহন এবং নিচ দিয়ে চলবে ট্রেন। চার লেনবিশিষ্ট মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ২২ মিটার। দুই প্রান্তে সেতুর ভায়াডাক্ট ৩ দশমিক ১৮ কিলোমিটার এবং সংযোগ সড়ক ১২ কিলোমিটার। নদীর দুই পাড়ে নদীশাসনের কাজ হয়েছে ১৪ কিলোমিটার। মূল সেতুর মোট পিলার ৪২টি, মোট স্প্যান ৪১টি এবং মোট পাইলিং সংখ্যা ২৬৪। এর উচ্চতা ১৮ মিটার।
পদ্মা সেতু নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড। পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪ জুলাই, ২০০১ সালে। এ সেতুর মূল কাজ শুরু হয়েছে ২৬ নভেম্বর, ২০১৪ সালে এবং শেষ হয়েছে ২৩ জুন, ২০২২। পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ জুন, ২০২২ এবং সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে ২৬ জুন, ২০২২ থেকে ।
পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রথমে ১০ হাজার ২৬২ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছিল। ২০১১ সালে সেতুর নির্মাণ ব্যয় ২০ হাজার ৫০৭ কোটি ২০ লাখ টাকায় উন্নীত করে একনেকে অনুমোদন পায়। ২০১৬ সালে আবারও ৮ হাজার ২৮৬ কোটি টাকা ব্যয় বৃদ্ধি পায়। সর্বশেষ আরও ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বেড়ে মোট ব্যয় দাঁড়ায় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ।
বিশ্ব ইতিহাসে মাইলফলক পদ্মা সেতু । বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে প্রাণের উচ্ছ্বাসে পদ্মাপাড় জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
মুহুর্মুহু পুরো এলাকায় ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হয় 'জয় বাংলা’, ‘জয় বঙ্গবন্ধু'। বাতাসে গুড়ে রঙিন আবির, বিমান থেকে ছাড়া হয় রঙিন ধোয়া, হেলিকপ্টার থেকে ঝরে রং-বেরঙের জরি, শিল্পীদের কণ্ঠে ‘থিম সং'-এ প্রাণের আবেগের ছোঁয়া। প্রত্যেকটি মানুষের হৃদয়ে নৃত্যের ছন্দ, মুখমণ্ডলে গৌরবের আবেশ; প্রত্যেকের পোশাকে, সাজসজ্জায় তারই স্বতঃস্ফূর্ত প্রকাশ । ২৫ জুন, ২০২২ বেলা ১১টা ৫৮ মিনিটে সুইচ টিপে পদ্মা সেতুর ফলক উন্মোচন করে সেতুর উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি ফলকের স্থানে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ম্যুরাল উন্মোচন করেন। করতালিতে মুখর হয়ে ওঠে চারদিক। জাজিরার দিকে যাওয়ার পথে তিনি সেতুর ওপর নেমে প্রায় ১৫ মিনিট উপভোগ করেন বিমান ও হেলিকপ্টারের ফ্লাইং ডিসপ্লে। এ সময় মিগ-২৯ জঙ্গি বিমানের প্রদর্শনীও উপভোগ করেন মাননীয় সরকারপ্রধান। ১২টা ৩৫ মিনিটে জাজিরা প্রান্তে পৌঁছে তিনি পদ্মা সেতুর ফলক উন্মোচন করেন । ১২টা ৫১ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী জনসভাস্থলে পৌঁছে লক্ষ লক্ষ মানুষের শুভেচ্ছার জবাব দেন এবং তাদের উদ্দেশে সকৃতজ্ঞ ও ইতিবাচক ভাষণ দেন।
বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিতে এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পদ্মা সেতুর গুরুত্ব, তাৎপর্য ও উপযোগিতা অপরিসীম। নিচে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পদ্মা সেতুর আর্থ-সামাজিক গুরুত্ব তুলে ধরা হলো-
সার্বিকভাবে পদ্মা সেতু আমাদের জাতীয় জিডিপিতে ১.২৬ শতাংশ প্রতিবছর যোগ করবে। আঞ্চলিক জিডিপিতে যোগ হবে ৩.৫ শতাংশ। পদ্মা সেতুতে রেল চালু হলে জাতীয় জিডিপিতে যোগ হবে আরও ১ শতাংশ। প্রতিবছর দক্ষিণ বাংলায় দারিদ্র্য কমবে ১.০৪ শতাংশের মতো। জাতীয় পর্যায়ে তা কমবে ০.৮৪ শতংশ।
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা, প্রকৌশল উৎকর্ষ ও সামগ্রিক পারঙ্গমতার প্রতীক এবং জাতি হিসেবে আমাদের নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার সোপান। কীর্তিনাশা পদ্মার ওপর নির্মিত এ সেতু বাংলাদেশের এক অভাবনীয় কীর্তি। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার পথে এটি একটি মাইলফলক। ডিজাইন কমপ্লেক্সিটি, নির্মাণশৈলী ও ভৌত কাজের পরিমাণ বিবেচনায় এ সেতু ইতোমধ্যেই 'পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যয়সাশ্রয়ী স্থাপনা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর এটাই আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন। সচল অর্থনীতির সফল চাবিকাঠি পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে নিজ গৌরবে আরও একবার মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ।
লেখাটি ভালো লাগলে বা আপনার উপকারে আসলে একটি কমেন্ট ও একটি রিভিউ অবশ্যই দিবেন, আপনার মতামত আমাদের এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
Detailsbd.com একটি মাল্টিনিশ বাংলা ব্লগ সাইট যেখানে মূলত ব্লগিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ব্যবসা, টেকনোলজি, ও পড়াশোনা রিলেটেড বিষয়বস্তু নিয়ে লেখা হয়। এটি শুরু করা হয় ২০১৮ সালের মে মাসের দিকে। এই সাইট টি আমার প্রথম ওয়েবসাইট তাই অনেক বাধা বিপত্তি সত্বেও আমি এই সাইটটিকে আমার কাছে রেখে দিয়েছি। আমার লেখা কোনো আর্টিকেল পড়ে যদি আপনাদের ভালো লাগে অথবা মন্দ লাগে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
রচনাটা পেয়ে অনেক উপকৃত হলাম আর লেখা গুলো খুব সুন্দর এবং গোছানো। ধন্যবাদ।
কোনো ভালো দিক নেয় সব বইয়ের জীবন 🤯🤯🤯
সরকারকে এত তোষামোদ করে রচনা লিখব!! নিরপেক্ষ ভাষায় ছাত্রের মতো রচনা লেখা উচিত তার চেয়ে।
এখানে তোষামোদ করে কিছু বলা হয়নাই সত্যটাই তুলে ধরা হয়েছে
সব মুখস্তের বইয়ের পড়া কোন ভালো দিক নেই