আজকাল অনলাইনে টি-শার্ট ব্যবসা দারুন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে খুব অল্প পুঁজি দিয়েই শুরু করা যায় বলে তরুণ উদ্যোক্তারা অনেকেই এই ব্যবসায় আগ্রহ দেখাচ্ছেন। কিন্তু এ খাতে আসতে হলে অনেক বিষয় জেনে রাখা দরকার এবং সেগুলো নিয়েই এবারের লেখা।
দিন দিন আমাদের পােষাক-পরিচ্ছেদের পরিবর্তন ঘটছে। আজকালকার ছেলে-মেয়েরা অনেক ধরনের পোষাকই পরিধান করে, তার মধ্যে আরামদায়ক ও স্টাইলিশ পােশাক হিসাবে টি শার্ট ব্যাপক পরিচিত। ছেলেদের পাশাপাশি আজকাল মেয়েরাও টি শার্ট পরিধান করে। যত দিন যাচ্ছে ততই টি শার্টের চাহিদা বাড়ছে। আজ থেকে কুড়ি বছর আগেও যেমন মানুষ টি-শার্ট পরিধান করত তেমনি আগামী ৫০ বছর পরেও টি শার্টের চাহিদা সমান ভাবে বাড়বে বলে ধারনা করা যায়।
টি-শার্ট কেনার সময় একেকজন একেক রকম ডিজাইন পছন্দ করেন। কেউ কার্টুন আঁকা টি-শার্ট পছন্দ করেন, কেউ আবার দৃশ্য আঁকা। এছাড়াও বাংলা ও ইংরেজী টাইপোগ্রাফি দিয়ে দারুন সব ডিজাইন তরুণ প্রজন্মের পছন্দ। তবে বাংলা ডিজাইন এর টি-শার্ট এর চেয়ে ইংরেজী টাইপোগ্রাফি ডিজাইন গুলো বেশি চলে। ভালাে ডিজাইন ছাড়া কেউ টি শার্ট কিনতে চায় না তাই টি-শার্ট ব্যবসায় নামতে হলে অবশ্যই ডিজাইন এর দিকে ফোকাস করতে হবে। পুরো বিশ্বে টি-শার্ট ডিজাইনারদের চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে। দোকান/ শোরুম এর পাশাপাশি এখন অনলাইন টি-শার্ট এর চাহিদাও বাড়ছে। তবে অনলাইনে টি-শার্ট ব্যবসা করতে হলে অবশ্যই দারুণ দারুণ ডিজাইন এর টি-শার্ট আপনাকে বানাতে হবে। তা না হলে অনলাইনে টি-শার্ট অর্ডার করবে না। এজন্য আপনাকে নিত্য নতুন ক্রিয়েটিভ সব আইডিয়া ও ডিজাইন নিয়ে কাজ করতে হবে অথবা ট্রেন্ডিং কোনো ডিজাইনের উপরও টি-শার্ট বানাতে পারেন চাইলে।
টি শার্ট ব্যবসা একটি স্মার্ট ব্যবসা। তাই আপনাকেও স্মার্ট হতে হবে। আর অদম্য সাহস থাকতে হবে। এই ব্যবসার কোনো ধরা বাধা পুঁজির হিসেব নেই। আপনি চাইলে দশ হাজার টাকা নিয়েও শুরু করতে পারেন আবার দশ লাখ টাকা দিয়েও শুরু করতে পারেন। তবে ক্যালকুলেশন করে ব্যবসায় না নামলে হোচট তো খেতেই হবে, তাই বুঝে শুনে সময় নিয়ে মাঠে নামবেন। টি শার্ট ব্যবসায় এমন অনেকেই আছেন যারা মাত্র দশ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু করে আজ সফল হয়েছেন। আবার অনেকে এক লাখ টাকা পুঁজি লাগিয়েও ব্যবসায় টিকতে পারেনি। তবে ভয় পাবার কিছু নেই, আমার লেখাটি শেষ পর্যন্ত মন দিয়ে পড়ুন তাহলেই আপনার ভয় কেটে যাবে।
আপনি যদি একজন ব্যবসায়ী/ উদ্যোক্তা হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের ফেসবুক ব্যবসায়ী গ্রুপ এ জয়েন করতে এই লিংক এ ক্লিক করুন https://www.facebook.com/groups/facebkfootpath
আপনি যদি একজন্য উদ্যোক্তা হতে চান তাহলে সবার আগে আপনাকে ক্রিয়েটিভ চিন্তা করতে হবে। টি-শার্ট নিয়ে ব্যবসা করার অনেক উপায় আছে, একেকজন একেক ভাবে নিত্য নতুন ব্যবসা আইডিয়া নিয়ে বাজারে নামছে। তাই আপনাকেও ভাবতে হবে কিভাবে আপনি নতুন ভাবে এই ব্যবসায় নামতে পারেন। আমি এ ব্যবসার সাথে প্রায় তিন বছর ধরে আছি। তাই আমি আমার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী এ ব্যবসা করার কিছু উপায় সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত বলব।
এটা হচ্ছে সবচেয়ে সহজ উপায় টি-শার্ট ব্যবসায় নামার জন্য। আপনাকে শুধু বিভিন্ন পাইকারি মার্কেট থেকে ভালো মানের টি-শার্ট কিনে নিয়ে আসতে হবে এবং সেটাকে বিক্রি করার ব্যবস্থা করতে হবে। রেডিমেট প্রিন্ট করা টি-শার্ট গুলো আপনি ফুটপাতে ১০০ থেকে ২৫০ টাকায় খুব সহজেই বিক্রি করতে পারবেন ।
এ ক্ষেত্রে যেটা করা হয় সেটা হচ্ছে , এক রঙের টি-শার্ট বা সলিড বডি কিনে আনা হয় পাইকারি দরে। অল্প টাকায় মোটামোটি অনেক পেয়ে যাবেন। তারপর সেই সলিড বডিগুলো একটা প্রিন্টিং এর কারখানায় এনে তাতে আপনার পছন্দ মত প্রিন্ট বসিয়ে প্যাকিং করে নিলেই তৈরি হয়ে গেল আপনার টি শার্ট।
এক্ষেত্রে যে সুবিধা আছে তা হল –
এক্ষেত্রে অসুবিধা গুলি হল –
এই ক্ষেত্রে আমার মত হচ্ছে আপনি যদি এই লাইনে একবারে নতুন হয়ে থাকেন তাহলে এভাবে শুরু করাটাই বেস্ট হবে আপনার জন্য। তবে দেখে শুনে জামা কিনতে হবে। কারন বড় বড় গার্মেন্টসে যে জামা গুলো রিজেক্ট হয়ে যায় মানে বাদ পরে যায়, সেগুলোই এই গুলিস্তান বা ইসলামপুরে বিক্রি হয়। সুতরায় বুঝতেই পারছেন যে এখান থেকে জামা কিনলে দেখে শুনেই কিনতে হবে। তবে এতটা ভয় পাবার কিছু নেই, পারলে সাথে অভিজ্ঞ কাওকে নিয়ে যেতে পারেন।
আর আপনি যদি এই লাইনে কিছুটা অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন আর অনলাইনে ব্যবসা করার কথা চিন্তা করেন তাহলে আমি বলব এই কাজ থেকে দূরে থাকুন। অনলাইন ব্যবসায় টিকে থাকতে হলে আপনাকে মান সম্পন্ন কাপড় দিয়ে টি শার্ট বানাতে হবে। তা নাহলে অনলাইন ব্যবসায় টিকে থাকা মুশকিল হয়ে পরবে। একবার কোনো কাস্টমার আপনার থেকে ড্রেস কিনে যদি ড্রেস ভালো না পায় তাহলে সে দ্বিতীয়বার আর আপনার থেকে ড্রেস কিনবে না। তাই অনলাইনে ব্যবসা করতে চাইলে চেষ্টা করবেন ভালো কিছু আপনার কাস্টমার কে দেয়ার।
এক্ষেত্রে আপনাকে যা যা করতে হবে-
এই হচ্ছে মূল প্রসেস, এবার আমি বিস্তারিত বলছি কিভাবে এবং কোথাথেকে এসব করবে
বাংলাদেশে টি শার্ট এর জন্য সবচেয়ে ভালো তিনটি জায়গা হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও মিরপুর।
আপনি কত পিস টি শার্ট বানাবেন সেই অনুযায়ী আপনার ফ্যাক্টরি খুঁজতে হবে।
এক্ষেত্রে বলে নেই যে, মিরপুরে আমার একটি ছোট টি-শার্ট ফ্যাক্টরি আছে। আপনার কোয়ান্টিটি যদি ৫০ থেকে ৩০০০ পিস হয় তাহলে আপনি চাইলে আমার সাথে যোগাযোগ করে কাজ করাতে পারেন। কল করতে পারেন 01991092286 এই নম্বরে।
টি শার্টের কাপড় আপনি দুভাবে কিনতে পারেন। প্রথমত মার্কেট থেকে গ্রে কালার কাপড় কিনে এনে সেটাকে পছন্দমত কালার দিয়ে ডায়িং করিয়ে নিতে পারেন। অথবা সরাসরি আপনার পছন্দের কালার করা কাপড় কিনতে পারেন।
T shirt এর কাপড় অনেক রকম হয় তাই বুঝে শুনে অভিজ্ঞ কাওকে সাথে নিয়ে কিনবেন। কাপড়ের gsm (gram per square meter) কত সেটাও দেখতে হবে। কাপড় কত মোটা না চিকন সেটা নির্ভর করে gsm এর উপর। নরমালি ফুটপাতে যে টি শার্ট গুলো আমরা দেখি সেগুলো ১৪০-১৬০ gsm এর হয়ে থাকে। শোরুমের টি শার্ট গুলো ১৬০-১৮০ gsm এর হয়ে থাকে। সাধারণত গরমের কাপড় গুলো ১৬০-১৮০ gsm এর মধ্যে হয়ে থাকে, আর শীতের কাপর ২০০-২৫০ gsm পর্যন্তও হয়ে থাকে।
গোল গলা টি শার্টগুলো সাধারণত single Jersey কাপড় দিয়ে বানানো হয়।
পোলো টি শার্ট বানানো হয় polo কাপড় দিয়ে।
জার্সি বানানো হয় জার্সির কাপড় দিয়ে।
এরকম একেক জামা একেক কাপড় দিয়ে বানানো হয়। কাপড় কেনার সময় গলার জন্য ও হাতার জন্য রিপের কাপড় কিনতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় যদি সবার প্রথমে গলা ও হাতার জন্য রিপের কাপড় কিনে ফেলেন। কারন জামার কাপড় কেনার পরে ওই কাপড়ের কালার অনুযায়ী রিপের কাপড়ের কালার নাও পেতে পারেন।
কাপড় কেনার জন্য সবচেয়ে ভালো জায়গা হচ্ছে গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও মিরপুর ১৩ । এখন প্রশ্ন হচ্ছে কোত্থেকে কাপড় কিনলে ভালো হবে? আপনি যদি মিরপুরের আশে পাশের হয়ে থাকেন তাহলে মিরপুর থেকেই কেনা উচিৎ। কারন গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ এ অল্প পরিমানের কাপড় পাওয়া যায়না। ধরুন আপনার ২০ কেজি কাপড় দরকার, এখন এত অল্প কাপড় আপনি গাজীপুর/ নারায়ণগঞ্জ এ পেতে অনেক কষ্ট হবে কারন ওখানে সব বড় বড় ক্লায়েন্ট রা কাপড় কিনতে যায়। তাই ওখানে ১০০ কেজির নিচে কাপড় বিক্রি করেন এমন খুব কম ব্যবসায়ীই আছেন। এছাড়া যারা এ লাইনে নতুন তারা ওসব যায়গায় গিয়ে কাপড় কিনতে গেলে ঠকে যাবেন। তাই আমি বলব আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন আর যেখান থেকে কাজ করাবেন সেই ফ্যাক্টরি যদি মিরপুরে হয় তাহলে মিরপুর থেকে কাপড় কেনাই সবচেয়ে ভালো হবে।
কোন কোন সাইজের টি-শার্ট বানাবেন তার ধারণা থাকতে হবে আপনার। ফ্যাক্টরিতে আপনার পছন্দের টি-শার্ট এর মেজারমেন্ট এর চার্ট আর রেশিও জানিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশে তরুন রা সাধারণত সাইজ হিসেবে M, L, XL এই তিন সাইজ ই পরিধান করে বেশি। মেজারমেন্ট এ টি-শার্ট এর কোন সাইজের হবে বা কি মাপের হবে এবং কোন সাইজ কত পিস করে হবে সেটার বিস্তারিত উল্লেখ করে দিবেন।
এর বাইরেও আপনি আপনার মত করে সাইজ রেশিও বলে দিতে পারেন।
কাপড় কেনার পর বডি প্যাটার্ন ও সাইজ অনুযায়ী কাপড় কাটিং করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার ফ্যাক্টরি তে যদি আগে থেকে প্যাটার্ন বানানো থাকে তবে তা দিয়ে কাজ চালিয়ে নিতে পারেন। নতুবা ৫০০ টাকা খরচ করে প্যাটার্ন বানিয়ে নিতে হবে।
কাটিং করার পর টি শার্টের যে যে অংশে প্রিন্ট করাবেন সেগুলো আলাদা করে নিয়ে প্রিন্টিং করাতে দিতে হবে। প্রিন্টিং এর কারিগর এর কাছে আপনার ডিজাইন টি দিয়ে রাখবেন তাহলে উনি আপনার কাপড় দেয়ার আগেই ডাইস বানিয়ে রাখবে। এতে করে কাজ এগিয়ে থাকবে।
প্রিন্টিং ও অনেক ধরনের হয়ে থাকে। যেমন রাবার প্রিন্ট, পিগমেন্ট প্রিন্ট, হাই ডেনসিটি প্রিন্ট। আজকাল কেউ টি শার্টে রাবার প্রিন্ট তেমন একটা করায় না। বেশিরভাগই পিগমেন্ট প্রিন্ট ও হাই ডেনসিটি প্রিন্ট করান।
এবার প্রিন্টিং থেকে বডি পার্ট গুলো নিয়ে এসে সুইং এ দিতে হবে। তারপর সবগুলো পার্ট ওনারা শেলাই করে দিলেই আপনার টি শার্ট রেডি। কি খুব সহজ লাগছে?
আর যদি ভরসা না পান কাওকে তাহলে আমাদের সাথেও যোগাযোগ করতে পারেন। শতভাগ ভালো কোয়ালিটির প্রিন্টিং ও সুইং এর নিশ্চয়তা দিচ্ছি আমরা।
সবকিছু হয়ে গেলে প্যাকেজিং করতে হবে। বাজার থেকে একটু ভালো দেখে পলি প্যাকেট কিনে আনলে ভালো হবে। প্যাকেজিং ভালো হলে প্রডাক্ট দেখতে সুন্দর লাগে, সেলও ভালো হয় তুলনামূলক।
এবার আসি খরচের হিসাবে। খরচের কোনো ধরা বাধা হিসেব নেই এই ব্যবসায়। অনেকে পার পিস ৭০ টাকা দিয়েও টি শার্ট বানায় আবার অনেকে ২০০ টাকা দিয়েও টি শার্ট বানায়। বুঝতেই পারছেন যত বেশি খরচ করবেন তত সুন্দর গেট-আপ হবে আপনার প্রডাক্ট এর। তবুও আপনাদের আমি একটা বেসিক হিসেব দেব যাতে আপনাদের একটা আইডিয়া হয়।
টি শার্ট বানাতে আসল খরচ হচ্ছে টি শার্টের কাপড়ের খরচ। কাপড়ের খরচের উপরই নির্ভর করে যে কত খরচ হবে। ১৬০ gsm এর প্রতি ১ কেজি কাপড়ে প্রায় ৪ টি করে টি শার্ট বানানো যায়।
তাহলে কাপড় যদি ২৪০ টাকা কেজি দরে কিনেন তাহলে প্রতি পিসে কাপড় বাবদ খরচ পরবে (২৪০/৪)= ৬০ টাকা করে।
তাহলে মোট খরচ হবে প্রতি পিসে (৬০+২০+৩৫+৩+২) = ১২০ টাকার মত। ১২০ টাকার টি শার্ট আপনি অনলাইনেও সেল করতে পারবেন ২০০-২৫০ টাকায়।
এবার আসি একটু মার্কেটিং এর ব্যাপারে। মার্কেটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ এক্ষেত্রে, কারন দিন শেষে যদি এত স্বাধের বানানো টি শার্ট গুলো বিক্রিই না করতে পারেন তাহলে দুদিন পরে হতাশায় তো ভুগবেনই সাথে টাকা পয়সাও আটকে যাবে। লস হবারও সম্ভাবনা থাকবে।
আপনি দু রকম ভাবে মার্কেটিং করতে পারেন।
মানে হচ্ছে আপনি চাইলে আপনার টি শার্ট গুলো বানিয়ে তারপর বিভিন্ন যায়গায় সেল করার ব্যবস্থা করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি ক্ষতির সম্মুখীনও হতে পারেন কারন আপনার বানানো প্রডাক্ট কেউ কিনতে নাও চাইতে পারে। তখন আপনি এই টি শার্ট গুলো নিয়ে বিপদে পরবেন।
সবচেয়ে স্মার্ট উপায় হচ্ছে আগে আপনি বিভিন্ন মার্কেটে ঘুরে দোকানদার দের আপনার টি শার্টের ডিজাইন দেখাবেন। তারপর তাদের থেকে সাজেশন নিবেন তারা কেমন প্রডাক্ট চায় এবং কত টাকার মধ্যে তারা টি শার্ট কিনে। তখন আপনি তাদের কে বলতে পারেন যে আপনি এই টি শার্টটা ৪-৫ দিনের মধ্যে ডেলিভারি দিতে পারবেন, তারা কি কিনতে আগ্রহী কিনা। এভাবে তাদের থেকে অর্ডার এনে তারপর আপনি প্রডাকশনে নামলে ঝুঁকি কমে যায় অনেকটাই। আর প্রডাক্ট টি যদি ওনারা নাও কেনেন তবুও ভয় নেই, অন্য কেউ নিশ্চই কিনে নেবে।
এছাড়া আরেকটি স্মার্ট উপায় হচ্ছে আপনি কিছু টি শার্টের ছবি ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে দেখতে পারেন কাস্টমার কেমন সাড়া দিচ্ছে। কাস্টমারের থেকে অর্ডার নিয়ে তারপর আপনি প্রডাকশনে নামলে ঝুঁকির মুখে পরবেন না আর। এভাবে আপনি ঝুঁকিহীন ভাবে ব্যবসায় নামতে পারেন এবং আমার মতে এভাবেই ব্যবসায় নামা উচিৎ।
একটি টি শার্টের আসল সৌন্দর্য হচ্ছে তার ডিজাইন ও সুইং কোয়ালিটি। সুইং অত ভালো না হলেও ডিজাইন যদি সুন্দর হয় তাহলেও অনেক সময় কাস্টমাররা টি শার্ট কিনে নেয়।
টি শার্ট ডিজাইনের সময় যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন তা হলো –
বিভিন্ন উপায়ে টি শার্ট বিক্রি করা যায়। আজকাল অনেকেই ফেলবুকে পেজ খুলে তাদের প্রডাক্টের বিজ্ঞাপন দিয়ে টি শার্ট সেল করছেন, অনেকে আবার ফেসবুক লাইভে এসে প্রডাক্ট রিভিউ করছেন। তবে ফেসবুকে সেল করতে হলে প্রডাক্ট মান সম্পন্ন ও সুন্দর ডিজাইন হওয়া আবশ্যক। আজকাল অনেকে বিভিন্ন গেম যেমন, Pubg, freefiee, cod, এসবের টি শার্ট বানাচ্ছেন এবং গেমিং কমিউনিটি তে সেগুলো ব্যাপক সাড়া জাগাচ্ছে। তাই এরকম ট্রেন্ডি ডিজাইন নিয়ে কাজ করলে ভালো সফলতা পেতে পারেন আপনিও।
প্রতিযোগিতা
বর্তমানে এ ব্যবসায় প্রতিযোগিতা অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। আবার অন্যদিকে ডিজাইন চুরির সম্ভাবনাও থাকে প্রচুর। তবে টি শার্টের দাম ও মানের উপর বিক্রি অনেকাংশেই নির্ভর করে তাই বুঝে শুনে দাম নির্ধারণ করুন।
অনলাইনে টি শার্ট ব্যবসা শুরু করত্র হলে ট্রেড লাইসেন্স এর অতটা প্রয়োজনীয়তা নেই, তবে ব্যবসা যখন একটু বড় হবে তখন ট্রেড লাইসেন্স করে নিলে আপনি নিশ্চিন্ত মনে ব্যবসা করতে পারবেন। ট্রেড লাইসেন্স বানাতে আপনার খরচ হতে পারে ৫-১০ হাজার টাকার মত।
টি শার্ট ব্যবসায় টিকে থাকার উপায়
এ ব্যবসায় টিকে থাকতে হলে আপনাকে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। মনে রাখবেন টি শার্ট ক্রেতাদের একটা বড় অংশ হচ্ছে তরুণ তরুণী, তাই তারা কি ডিজাইন চায় সেটার উপর লক্ষ্য করতে হবে। তারা চায় তাদের পরনের টি শার্ট তাদের পরিচয়কে সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলুক। তাই ডিজাইন নির্বাচনের সময় এ বিষয় গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে।
টি শার্ট ব্যবসায় বাড়তি আয়ের অনেক রকম উপায় আছে। যেমন বিভিন্ন ইভেন্ট বা অনুষ্ঠানের সময় টি শার্টের অর্ডার গুলো যদি এনে কাজ করতে পারেন তাহলেও বেশ ভালো একটা ইনকাম চলে আসবে। এছাড়া কাজ করতে করতে আপনিও পারদর্শী হয়ে উঠবেন অনেক টা। পরবর্তীতে চাইলে নিজেও একটা ছোট খাটো ফ্যাক্টরি দিয়ে জোড়ালো ভাবে ব্যবসায় নামতে পারেন। আরো অনেক ভাবেই আয় করা সম্ভব এই লাইনে, সেসব কথা নাহয় নাই বললাম আজ। এখন শুধু সাহস নিয়ে মাঠে নেমে পরুন।
অনেকেই আছে যারা ফুটপাতে টি শার্ট বিক্রি করেন বা করার কথা ভেবে থাকেন। কোনো ব্যবসাই ছোট নয়, যারা অল্প টাকায় ব্যবসা করার কথা ভাবেন তাদের ইচ্ছা ও সাহসের আমি প্রসংসা করি।
ফুটপাতে টি শার্ট ব্যবসা করতে হলে প্রথমেই আপনাকে ভাবতে হবে যে কোন লোকেশন এ আপনি বসেছেন এবং সেখানে অন্যদের ব্যবসা কেমন। আপনার এলাকার কাস্টমার গুলো কেমন।
ম্যাক্সিমাম ক্ষেত্রে দেখা যায় যে ফুটপাতের টি শার্ট গুলো ১০০ টাকার বেশি দামে কেউ নিতে চায়না খুব একটা। তাই আপনাকে সেভাবেই প্রডাক্ট তুলতে হবে। ফুটপাতের জন্য আমি পরামর্শ দেব যে গুলিস্তান থেকে বা কোনো গার্মেন্টস থেকে স্টক লট কিনে এনে সেল করার চেষ্টা করুন। এতে লাভ থাকবে ভালো।
আর যদি কোয়ালিটি ফুল প্রডাক্ট নিয়ে বসতে চান তাহলে সেটাও করতে পারেন, বর্তমানে ফুটপাতেও কোয়ালিটি ফুল পন্য পাওয়া যায় এবং কাস্টমারও ভালো দাম দিয়ে সেটা কিনে নেয়। কোয়ালিটি ফুল প্রডাক্ট বানাতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
অনলাইনে টি শার্ট ব্যবসা বর্তমানে তরুন সমাজের ট্রেন্ড। অনেকেই অনলাইনে এই ব্যবসা শুরু করতে চায় কিন্তু সঠিক পন্য ও গাইডলাইনের অভাবে সফল হতে পারে না। ব্যবসা অনলাইনে হোক বা অফলাইনে, ব্যবসার নিয়ম নীতি কিন্তু একই। মার্কেট রিসার্চ ও স্ট্র্যাটেজি ছাড়া মাঠে নামলে হোচট খেতেই হবে।
অনলাইনে ব্যবসা করার জন্য অবশ্যই আপনাকে ভালো কোয়ালিটির পন্য দিয়ে শুরু করতে হবে। নাহলে আপনি কাস্টমার ধরে রাখতে পারবেন না। তাই চেষ্টা করবেন যেখান থেকেই পন্য বানান না কেন পন্যের কোয়ালিটি যেন ভালো হয়।
টি শার্ট ব্যবসা করতে কত পুঁজি লাগে?
আপনি চাইলে মাত্র ১০ হাজার টাকা নিয়েই শুরু করতে পারেন।
টি শার্টের ভালো কাপড় কোথায় পাওয়া যায়?
গাজীপুর, নারায়নগঞ্জে ও মিরপুরে টি শার্টের ভালো কাপড় পাওয়া যায়।
টি শার্ট তৈরির কারখানা
মিরপুর, নারায়নগঞ্জ, গাজীপুরে অনেক ছোট খাটো ফ্যাক্টরি আছে।
টি শার্ট ব্যবসায় সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন বিষয় কি ?
এ ব্যবসায় সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন বিষয় হচ্ছে টি শার্টের ডিজাইন।
আপনি যদি সম্পুর্ন আর্টিকেল টি পড়ে থাকেন তাহলে কমেন্টে “Done” লিখুন যাতে আমি বুঝতে পারি কতজন সম্পুর্ন লেখাটি পড়েছেন, এছাড়া আপনার যদি কোনো জিজ্ঞাসা থাকে সেটিও জানাতে পারেন কমেন্ট বক্সে।
আরও পড়ূন
টি শার্ট ব্যবসা, oversized t shirt, zara t shirt, টি শার্ট প্রিন্ট ডিজাইন, বাংলা লেখা টি শার্ট, টি শার্ট তৈরির কারখানা, jara t shirt, 30 rupees t-shirt, t shirt own design, new style t shirt, শার্ট, amar t shirt, shirt fabric, short t-shirt, bengali writing t shirt, my new t-shirt, easy t shirt design, shirt business, t shirt printing shop, t-shirt printing near me, big size t shirts, large t shirt, writing on t shirt, what t shirt, টি শার্ট মেজারমেন্ট,
Detailsbd.com একটি মাল্টিনিশ বাংলা ব্লগ সাইট যেখানে মূলত ব্লগিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ব্যবসা, টেকনোলজি, ও পড়াশোনা রিলেটেড বিষয়বস্তু নিয়ে লেখা হয়। এটি শুরু করা হয় ২০১৮ সালের মে মাসের দিকে। এই সাইট টি আমার প্রথম ওয়েবসাইট তাই অনেক বাধা বিপত্তি সত্বেও আমি এই সাইটটিকে আমার কাছে রেখে দিয়েছি। আমার লেখা কোনো আর্টিকেল পড়ে যদি আপনাদের ভালো লাগে অথবা মন্দ লাগে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
osadharon
Done
dhonnobad
ধন্যবাদ।
apnakeo dhonnobad
Interesting content, If you wants make a guest post on the same but unique topic you are most welcommed
thanks a lot brother
Thank you very much for your information
thank you soo much brother
অনেক কিছু জানতে পারলাম ভাই। অসাধারন ছিলো।
ভাইয়া, আপনার সাথে যোগাযোগ করতে চাই।
অবশ্যই, আমার নাম্বার 01991092286
Informative post, I will contact to discuss about placed an order. Shafayat. 01764950825
Vaii print masing kinta parbo na??
Thanks a lot brother
ji obossoi parben
bhaia apnar sathe ei bishoy arektu details kotha bolte chai.. social media te apnk kothay pabo jodi ektu bole diten
Done. Thanks for details. i will contact with you. as soon as possible.
আপনাকে ধন্যবাদ ভাই, আপনার সাথে যোগাযোগের ইচ্ছা রইল।
1kothay osadaron
Done..and tnx 4 all this
মানুষকে সৎ যুক্তি দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।
Ameen
ভাই,,,,, আপনার লেখা পড়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
এত তথ্য এক সাথে,সুন্দর করে গুছিয়ে বলার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার লেখা পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম। অনেক কষ্ট করে লিখেছেন তাই ধন্যবাদ না দিয়ে পারলাম না